একই হাসপাতালের দুই রিপোর্টে রক্তের দুই গ্রুপ
ছেলের ব্লাড গ্রুপের রিপোর্ট হাতে পেয়ে চোখ কপালে উঠেছিল দেবাঞ্জনবাবুর। গত সাড়ে তিন বছর ধরে তিনি জানতেন তাঁর ছেলের ব্লাড গ্রুপ বি পজিটিভ(B+)। গত পরশু দেখলেন তা বদলে A+ হয়ে গিয়েছে। একই হাসপাতালে রক্তপরীক্ষায় কীভাবে রিপোর্ট বদলে যায় তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
ইএম বাইপাস সংলগ্ন শহরের এক অভিজাত হাসপাতালেই ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর জন্ম হয় দেবাঞ্জনবাবুর ছেলের।
তিনি জানাচ্ছেন, সে সময়ই ছেলের রক্তপরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর ছেলে ঐন্দ্রিলের ব্লাড গ্রুপ বি পজিটিভ(B+)। সে সময় অবশ্য ছেলের নাম ঠিক হয়নি। তাই রিপোর্টে মায়ের নাম করেই লেখা হয়েছিল সে তথ্য। এতদিন তাই-ই জানতেন তাঁরা। এমনকী স্কুলে ভর্তির সময়ও এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই জানানো হয় তার ব্লাড গ্রুপ। এ তথ্যই তাই ছিল স্কুলের কাছেও। ইতিমধ্যে সরকারি হেল্থ কার্ড করানোর জন্য ফের ছেলের ব্লাড রিপোর্ট পরীক্ষা করানো হয়। ওই একই হাসপাতালে ছেলের ব্লাড টেস্ট করান দেবাঞ্জনবাবু। এবং দেখেন, এক্ষেত্রে রিপোর্টে উল্লেখ আছে সম্পূর্ণ নতুন গ্রুপের কথা। জানামাত্র তড়িঘড়ি তিনি ওই হাসপাতালেই ডাক্তারবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই ডাক্তারবাবুর কাছেই সাধারণত ছেলের চিকিৎসা করান দেবাঞ্জনবাবু। তিনিও এই তথ্য দেখে অবাক হয়ে যান। তাঁর নির্দেশমতোই যোগাযোগ করা হয় ওই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে। সেখানে আবার বিশেষ পরীক্ষার পর জানানো হয়, দ্বিতীয় রিপোর্টটিই সঠিক। প্রথমটি নয়।
ঘটনায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন দেবাজ্ঞনবাবু। সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যখন নানা কথা উঠছে, তখনই নামী এই হাসপাতালের ‘জনসেবা’র নমুনা তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি সে পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে দেবাঞ্জনবাবু জানান, “সাড়ে তিন বছর ছেলের ব্লাড গ্রুপ এক জানতাম। এখন অন্যটা সঠিক বলা হচ্ছে। কোনটা ঠিক কী করে বিশ্বাস করব?” এর মধ্যে কিছু অঘটন ঘটলে কী হত, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন তিনি।
পুরো বিষয় নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে এখনই এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।