English Version
আপডেট : ২৯ জুন, ২০১৮ ২২:৪১

ডিপজলের মেয়ের রাজকীয় বিয়ে

অনলাইন ডেস্ক
ডিপজলের মেয়ের রাজকীয় বিয়ে

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের মেয়ে ওলিজা মনোয়ারের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। টানা ১০ দিন ছিলো বিবাহ উৎসবের আমেজ।

ঢাকার ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান অর্পনের সঙ্গে গত ১৯ জুন এক অনাড়ম্বর পরিবেশে অলিজার বিয়ে সম্পন্ন হয়। গত ২৪ জুন ধানমণ্ডির একটি হোটেলে হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেশনের নবরাত্রি হলে অনুষ্ঠিত হয় বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।

এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, ‘গত ১০ দিন ধরেই বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে গতকাল আমার একমাত্র মেয়ের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা সুন্দরভাবে শেষ করতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া। আমার মেয়েকে যাঁরা অনুষ্ঠানে এসে দোয়া করেছেন, যাঁরা আসতে পারেননি আমাকে ফোন করে দোয়া দিয়েছেন, সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সবাই দোয়া করবেন, আমার মেয়ে এবং জামাতা যেন সুস্থ সুন্দর একটি জীবন পরিচালনা করতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিয়ে থেকে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা পর্যন্ত আমাদের পরিবারে নানা আয়োজন থাকে। সেই হিসেবে গায়ে হলুদের আগেও কিছু অনুষ্ঠান ছিল। গত বুধবার দিবাগত রাতে ছিল মেহেদি উৎসব। সেখানে আমরা সারা রাত অনেক মজা করেছি। রং খেলায় মেতেছিল সবাই। পানি দিয়ে সবাই ভিজেছি, সাথে ছিল ডিজে পার্টি। সবকিছু মিলে পানিতে ভিজে গতকাল সকাল থেকেই শরীরে জ্বর অনুভব করছি। বিবাহোত্তর সংবর্ধনা শেষে মনে হয় জ্বরটা একটু বেড়েছে।’

মেয়ের স্মৃতিচারণ করে ডিপজল বলেন, ‘আমার এই মেয়েটিকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। নিজের চোখের সামনে রেখে সব সময় বড় করেছি। লন্ডনে যখন পড়তে গেল, তখন নিজের মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করত। আজ সে আমাকে ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যাচ্ছে। এটাতে আরো বেশি কষ্ট পাচ্ছি, আবার এর মধ্যে একটা আনন্দও আছে। মেয়েকে তো ছোটবেলায় অনেক সাজিয়েছি। নিজের হাতে মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার সময় মনে হয়েছে, মেয়েটি এখনো সেই ছোটটিই আছে।’

ছবিঃ সংগৃহীত

জামাতা প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, ‘ওবায়দুর রহমান অর্পন অনেক ভালো একটি ছেলে। আমরা পারিবারিকভাবেই বিয়ের আয়োজন করেছি। ছেলে ঢাকায় ব্যবসা করে। আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে এরই মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক হয়েছে। আশা করি, সারা জীবন এভাবেই কাটবে অলিজা অর্পনের জীবন। আমাকে সবাই অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। আপনাদের দোয়ায় আমি সুস্থ হয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবন পরিচালনা করছি। আপনাদের দোয়া নিয়ে আমার মেয়েও সুখী জীবন কাটাবে ইনশাআল্লাহ।’