English Version
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৫:২৭

শোবিজের যত ঝগড়া-বিবাদ!

অনলাইন ডেস্ক
শোবিজের যত ঝগড়া-বিবাদ!

শোবিজে ঝগড়াটা নতুন নয়। এক সঙ্গে কাজ করতে গেলে ঝগড়া বাঁধবেই। নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনার মতো একজন অন্যজনকে তুলোধুনা করে। তবে তারকাদের এমন ঝগড়া-ঝাটি ভক্তদের মধ্যেও বেশ প্রভাব ফেলে। ভক্তরা হয়ে যায় দ্বিধা বিভক্ত। একে অন্যকে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে। স্যোসাল মিডিয়ায় ভক্তদের এমন ঝগড়া মাত্রাতিরিক্তও হয়ে যায়। আজকের লেখায় রইলো বাংলা শোবিজে তারকাদের ঝগড়া-বিবাদ।

একটা সময় কিংবদন্তি দুই কন্ঠশিল্পী, সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লার মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। একসঙ্গে গান করা তো দূরের কথা। হয়তো শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। অনেক বছর পর সম্পর্কটা জোড়া লাগে ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’ গানটি দিয়ে। ফারুক আর জাফর ইকবালের ঝগড়াটাও কিন্তু কমদিনের জন্য ছিল না। সমসাময়িক হওয়াতে একজন আরেকজনের অভিনয় নিয়ে নিয়মিতই সমলোচনার ঝড় বইয়ে দিতেন। ববিতা -রোজি আফসারীর ঝগড়াটাও ছিল দীর্ঘদিন ধরে।

সালমান শাহ ও মৌসুমীর চলচ্চিত্র জীবনের যাত্রা শুরু একই সঙ্গে। প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছিল সুপারডুপার হিট। প্রথম ছবির পর প্রযোজক পরিচালকদের ভীড় লেগে যায় তাদের দ্বারে। কিন্তু কি এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ জুটির ভাঙন ধরে। তাদের একসঙ্গে আর কোন ছবিতে দেখা যায়নি। দুজনের জুটি ভাঙ্গার পরও একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে কখনো দোষারোপ কিংবা সমলোচনা করেননি।

চলচ্চিত্রে প্রায় একই সময়ে যাত্রা শুরু করেন মৌসুমী ও শাবনূর। পপির যাত্রাটা তাঁদের চার বছর পরে। ঠিক কী দ্বন্ধ তা স্পষ্ট না হলেও মৌসুমী আর শাবনুর দীর্ঘ ১৩ বছর একসঙ্গে কোন কাজ করেননি। প্রয়াত নায়ক মান্না তাদের সে ঝগড়া মিটিয়ে দিয়েছিলেন। সম্পর্কে ফুপাতো-মামাতো বোন হওয়া সত্ত্বেও দ্বন্দ্বের কারণে মৌসুমী-পপি ১৪ বছর একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি। সেই দ্বন্ধ একটা সময়ে এসে মিটে গেছে। পপির পেশাগত দ্বন্ধ ছিল শাবনুরের সঙ্গেও। তাদের একসঙ্গে কোন ছবিতে দেখা যায়নি। একই সঙ্গে কোন শোতেও দেখা যেত না।

সালমান পরবর্তী সময়ে রিয়াজের সঙ্গে জুটি বাঁধে শাবনূর। এই জুটি বেশ প্রশংসিতও হয়। চাহিদা তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে ভেঙে যায় তাদের জুটি। জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ হিসাবে অনেকেই মনে করে পূর্ণিমার সঙ্গে জুটি বাঁধতে আগ্রহী থাকতেন রিয়াজ। আর শাবনূর ঝুকে পড়ে ফেরদৌসের প্রতি।

শাকিব খান যখন শুরু করেছেন। শাবনূর তখন দেশের প্রথম সারির হিট নায়িকা। সে সময়টা একে অন্যের সঙ্গে ছিল বন্ধুর মত। শাকিবের সুদিন যখন শুরু, শাবনূরের ভাটাও তখন শুরু হলো। একই সঙ্গে শুরু হলো তাদের মধ্যকার দ্বন্ধ।

পূর্ণিমার সঙ্গে শাকিবের দ্বন্দ্বের শুরু হয় ‘ভালোবেসে মরতে পারি’ ছবির সেটে। শুটিং স্পট থেকে পূর্ণিমা চলে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দ্বন্ধ ছিল। সেই দ্বন্ধ খুব বেশিদিন হয়নি মিটেছে।

শাকিবের জের ধরে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বুবলির ঝগড়া প্রকাশ্য। শাকিব খানকে নিয়ে একে অন্যের বিপক্ষে তীর্যক বাক্য নিয়মিত বলে যাচ্ছে। বুবলি- অপুর ঝগড়ার কারণে প্রকাশ্যে আসে শাকিব-অপু বিশ্বাসের বিয়ের খবরও।

দেবদাস ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মৌসুমী। অথচ ঐ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র পার্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অপু বিশ্বাস। পার্বতীর পরিবর্তে চন্দ্রমুখী মৌসুমী কেন পুরস্কার পাবে এই প্রশ্ন নিয়ে অপু বিশ্বাস একটি স্ট্যাটাস দেন। আর এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল তাদের ভেতরের ঠান্ডা যুদ্ধ। শাকিল খান আর পপির ঝগড়ার খবর নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়। সে ঝগড়ায় সেদিন দুজনেই আবার তাও দিয়েছিল। তবে মিডিয়ায় খুব বেশি গরম করতে পারেনি।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নাটক পাড়ায় ঝগড়াও কম হয় না। এই যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ত্রিমুখী ঝগড়ায় অবতীর্ন হয়েছিলেন মম-বিন্দু আর মিম। একবার মম তার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বিন্দু ও মমতো এখনো পড়ালেখাই শেষ করেননি। এরকম সমলোচনামূলক আরও কিছু তথ্য। আর এতেই পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেছিলেন মিম ও বিন্দু।

তারকাদের ভার্চূয়াল যুদ্ধও হয়। এই যেমন ফারিয়া আর স্পর্শিয়ার ভার্চুয়াল ঝগড়া। স্পর্শিয়ার একটি ভিডিও পোস্ট দেওয়া নিয়ে তাদের ভেতর ঝামেলার সূত্রপাত হয়। নুসরাত ফারিয়া কারো নাম প্রকাশ না করে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘কাউকে নিয়ে অযথা মজা করা কখনোই ভালো ব্যাপার নয়। কিন্তু কেউ একজন এটাই করেছে।

তবে এটা নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই কারণ সেখানে আমার জন্য শুভকামনাও ছিল। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে ঐ ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে পাবলিক আকর্ষণের জন্য।আমি তাকে বলবো যে, বড় হতে হলে সহকর্মীদের সম্মান দিতে হবে।’ এরকমই আর এক ঝগড়ায় লিপ্ত হয় মেহজাবিন ও নুসরাত ফারিয়া। ক্রিকেটার রুবেলকে নিয়ে হ্যাপির সঙ্গে ভার্চুয়াল ঝগড়া হয় উপস্থাপিকা আমিব্রিন ও মৌসুমী হামিদের।

শুধু নাটক কিংবা সিনেমা নয়। রুনা লায়লা- সাবিনা ইয়াসমিন দ্বন্ধের মত আরও অনেক রয়েছে। তার মধ্যে কিছুদিন আগে আবার জ্বলে উঠলো প্রীতম ও আসিফের দ্বন্ধ। অবশ্য এটা অনেকদিন ধরেই চলছিল। অর্থহীনের সুমন ও আইয়ূব বাচ্চুর দ্বন্ধও কম আলোচিত নয়।