English Version
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:৩১

ভোটার আইডি থেকে বেরিয়ে এলো সালমানের আসল বয়স!

অনলাইন ডেস্ক
ভোটার আইডি থেকে বেরিয়ে এলো সালমানের আসল বয়স!

বিনোদন ডেস্ক: বলিউড তারকাদের রিলে লাইফ আর রিয়েল লাইফ নিয়ে পৃথিবীর সব মানুষের জানার আগ্রহ জাগে। তবে তিনি যদি হন সালমান খান তাহলে তো কথাই নেই।  হ্যা সালমান খানের আসল জন্মদিন কবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তার কট্টর ভক্তরা বলবেন  ১৯৬৫ সালে তাঁর জন্ম। এই তো গেল ২৭ ডিসেম্বর তিনি ৫১ বছরে পা রেখেছেন। কিন্তু না সালমান খানের প্রকৃত বয়স ৬৪? সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ পায় ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের কার্ড থেকে। ঘটনা এখানে শেষ নয় যিনি সালমান খানের কার্ডটি নিয়ে এসেছেন তার সঙ্গে বলিউড স্টারের কোনো মিল নেই। 

মূল ঘটনা হায়দরাবাদের পুরানা শহর এলাকার। কিছু দিন আগে এখানে আয়োজন হয়েছিল একটি পৌরভোটের। সেই ভোটেই একটি ভোটদান কেন্দ্রে এক ব্যক্তি এক বিচিত্র ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিতে হাজির হন। ভোটার কার্ডে নামের জায়গায় লেখা ছিল সালমান খান, ছবিও অভিনেতা সালমান খানের। ভোটারের বাবার নাম হিসেবে লেখা ছিল সেলিম খানের নাম, যিনি এই অভিনেতার বাবা। সেই কার্ডেই দেখা যায়, সেখানে লেখা রয়েছে ৬৪ বছর।   বলা বাহুল্য, এই কার্ড নিয়ে যিনি ভোট দিতে হাজির হয়েছিলেন, তিনি আদৌ অভিনেতা সলমন খান নন। এমনকী তাঁর নামও সলমন নয়। তা হলে এমন অদ্ভুত একটি ভোটার কার্ড তাঁর কাছে এল কী করে? এই বিষয়ে ভোটকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে চেপে ধরতেই তিনি জানান, তিনি দরিদ্র এবং লেখাপড়া জানেন সামান্যই। তিনি ভোটার কার্ড পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, এবং ছবি তুলিয়েছিলেন। কিছু দিন পরে ভোটাধিকারিকরা এই কার্ডটিই তাঁর হাতে তুলে দেন।  কার্ডে নিজের ছবি দেখতে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তাঁরা নাকি বলেন, এই কার্ড নিয়ে ভোট দিতে তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না। তিনি কার্ডটি নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। ওই ব্যক্তির কথাবার্তা শুনে তাঁকে নিরপরাধ বলেই মনে হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীদের। তাঁরা তাঁকে ছেড়ে দেন। অবশ্য তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। 

যদিও ভোটার তালিকার নির্দিষ্ট জায়গাতেও অভিনেতা সলমনের ছবিসহ নামই ছাপা রয়েছে বলে জানান ভোটকর্মীরা। ওই ব্যক্তি যদি নিরপরাধ হন, তা হলে পরোক্ষে এটাই ধরে নিতে হয় যে, ভোটার কার্ড ইস্যু করার সময়েই কোনও গোলমাল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপরেই সে ক্ষেত্রে দায় বর্তায়। 

পুরানা শহরের বাসিন্দারা বলছেন, তাঁদের ভোটার কার্ডে এমন ভুল প্রায়ই হচ্ছে। পুরানা শহরের এক বাসিন্দা সৈয়দ হায়দার এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখানে বহু লোকের এখনও ভোটার আইকার্ড-ই নেই। আবেদন করেও তাঁরা কার্ড পাননি। অনেকের নাম আবার বিনা নোটিশেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।’