English Version
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০১৭ ১১:৪২

প্রকাশনা জালিয়াতি করে পদোন্নতির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশনা জালিয়াতি করে পদোন্নতির অভিযোগ

প্রকাশনা জালিয়াতি ও তথ্য গোপনের মাধ্যমে পদোন্নতির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।    বাংলা বিভাগের ড. হোসনে আরা জলি প্রকাশনা জালিয়াতি ও তথ্য গোপনের মাধ্যমে অধ্যাপক পদে গ্রেড-২ এ উত্তীর্ণ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫তম সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ড. হোসনে আরা জলি অধ্যাপক গ্রেড-২ এর আবেদন করেন।    বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দুটি বিভাগের দুজন অধ্যাপকও একই আবেদন করেছেন। কিন্তু ওই দুজন শিক্ষকের বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ থাকলেও ড. হোসনে আরা জলির আবেদনে বাংলা বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ নেই। সুপারিশ ছাড়াই উপাচার্যের কাছে আবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে।    জানা যায়, নিয়ম অনুসারে অধ্যাপক পদে যোগদানের পর চার বছরের মধ্যে দুটি প্রকাশনা থাকলে সেই প্রার্থী গ্রেড-২ পাবেন। নথিপত্রে দেখা গেছে ড. হোসনে আরা জলি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার তিন মাসের মাথায় দ্বিতীয় দফায় অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভ করেন।    নিয়ম অনুযায়ী, ১০টি প্রকাশনা থাকার কথা থাকলেও তার প্রকাশনা ছিল দুটি। অধ্যাপক পদে স্থায়ী হওয়ার জন্য একটি গবেষণা প্রকাশনা প্রয়োজন হয়। অধ্যাপক পদে যোগদানের একমাস পর তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন নাটক বিষয়ক একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন যা দিয়ে নিয়োগের একবছর পরই তার চাকরি স্থায়ী করেন।    প্রবন্ধ রিভিউ হয়ে প্রকাশ পেতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগলেও অধ্যাপক হওয়ার একমাস পর কীভাবে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চাকরি স্থায়ী করণে প্রকাশিত ওই একই প্রবন্ধ পুনরায় তিনি গ্রেড-২ পাওয়ার জন্য জমা দিয়েছেন। তিনি অন্য একটি প্রবন্ধ জবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের জার্নালে প্রকাশিত হবে এই মর্মে প্রত্যয়ন গ্রহণ করেছেন।    উল্লেখ্য, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কোনো জার্নাল এর আগে প্রকাশিত হয়নি।    এছাড়া গত চার বছরেও তিনি কোনো গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে পারেননি। বাংলা বিভাগের ড. হোসনে আরা জলির বিরুদ্ধে একই বিভাগের হিন্দু শিক্ষককে ‘নমশূদ্র’ বলে গালি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উক্ত বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও সে বিষয়ে কোনো শাস্তি তাকে দেওয়া হয়নি।    জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক. মো. সেলিম ভূইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না’।    এদিকে, গত ৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় নাট্যকলা বিভাগের এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগে একই বিভাগের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম প্রামাণিককে এবং পদোন্নতি পেতে গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা মেলায় ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযোগের তদন্তের কাজ শেষ হলে এই দুই শিক্ষকের বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে সিন্ডিকেট।    অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হোসনে আরা জলির য়োনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।