English Version
আপডেট : ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০১:০২

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাসের রেকর্ড করল বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাসের রেকর্ড করল বাংলাদেশ

শাবি: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাসের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। 

বুধবার দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া দেড় ঘণ্টার বিজ্ঞান ক্লাসে অংশ নেয় উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের ৩ হাজার দুইশ শিক্ষার্থী। কুলিয়ারচর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘স্কুল পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাস’ পরিচালনা করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ ক্লাসে তাকে সহায়তা করেন কুলিয়ারচর উপজেলার ৮০ জন আইসিটি শিক্ষক।

পুরো আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে শাবির বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠন ‘বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা’। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মকতা এবং ব্যবহারিক ক্লাসের সেচ্ছাসেবী সমন্বয়ক মো. জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে শাবি থেকে অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধি দল এতে সেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করে।

এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাস নেওয়ার রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিসবেন, কুইন্সল্যান্ডে ২৯০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় ক্লাসটি অনুষ্ঠিত হয়। তবে মাত্র সাড়ে চারমাসের মাথায় বুধবার রেকর্ডভঙ্গ করে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ৩ হাজার দুই শ শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক বিজ্ঞান ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে গিনেজ বুকে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশ।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ ব্যবহারিক ক্লাসের শেষ পর্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, কুলিয়াচরের এমপি নাজমুল হাসান পাপন, জেলা প্রশাসক জনাব আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) জনাব গোলাম মোহাম্মদ ভূইয়া, কুলিয়ারচরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. উর্মি বিনতে সালাম প্রমুখ।

আয়োজকেরা জানান, কুলিয়ারচর থানার মাঠে অস্থায়ীভাবে তৈরী আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা সম্পন্ন শ্রেণীকক্ষে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় এ ব্যবহারিক ক্লাসে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ব্যাটারি, ইলেকট্রিক ওয়্যার, লোহা, সুই ইত্যাদি ব্যবহার করে চুম্বক ধর্মের ব্যবহার শিক্ষা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ই-মেইল ও আইসিটির ওপর প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়। এরপর ক্লাসে ভালো ফলাফল করা ১০ শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।সূত্র:নয়াদিগন্ত।