English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০৮:০৬

সারা দেশে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, ভাঙচুর আতঙ্ক উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক
সারা দেশে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, ভাঙচুর আতঙ্ক উত্তেজনা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় ঘিরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারা দেশে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটেছে। রায়ের দিনটিকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই জনমনে ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। গত বুধবার রাত থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গতকাল দুপুরে রায় ঘোষণার পরপরই রাজধানীসহ অন্তত ১৩ জেলায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস ও ছাত্রদল সভাপতিসহ সারা দেশে অন্তত ৩৫১ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কিছু সাধারণ মানুষও রয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল রায় ঘোষণার আগে কাকরাইল ও চানখাঁরপুলে, রায় ঘোষণার পর পল্টনে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।

আদালতে রায় ঘোষণার পর বিএনপি মিছিল-সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। কোথাও কোথাও রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ বা লাঠিচার্জ করার ঘটনা ঘটেছে। সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগর বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। খুলনায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এদিকে গতকাল রাতে ময়মনসিংহে একটি ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় একটি এসি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বিস্তারিত আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :

রাজধানীতে উত্তেজনা, সংঘর্ষ : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে গতকাল ঢাকায় ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করেছে। তবে বড় ধরনের সংঘাত হয়নি। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ও কর্মীদের চলার পথে সরকারি দল আওয়ামী লীগ বাধা দিয়ে সংঘর্ষ তৈরি করেনি। যদিও শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এর মধ্যে খালেদা জিয়া আদালতে যাওয়ার পথে কাকরাইলে ও চানখাঁরপুলে এবং রায় ঘোষণার পর পল্টনে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

দুপুরে আদালত এলাকা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর কিছু সময় আগে চানখাঁরপুলে পুলিশের ব্যারিকেডে যুব মহিলা দলের নেত্রী সানজানা পপিসহ ১০-১২ জনকে আটক করে পুলিশ।

বিকেলে রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে মিছিল বের করা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষের পর ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া কাকরাইল, বকশীবাজার ও হাইকোর্ট এলাকা থেকে আরো অন্তত পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।

রাজধানীর মগবাজার, চানখাঁরপুল ও কাকরাইল এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ইটপাথরের আঘাতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী গতকাল রাতে আহতদের শারীরিক খোঁজখবর নিতে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালেদা জিয়া আদালতে যাওয়ার সময় মগবাজারের আগে দুপুরে হাতিরঝিল মোড় থেকেই কর্মীরা জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করে। এ সময় পুলিশও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের গলি থেকে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীবহর উদ্দেশ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় বহর থেকে কয়েক শ কর্মী তাদের উল্টো ধাওয়া করে। এতে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কাকরাইলে পৌঁছতেই উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের দিক থেকে পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে আটটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে ফের জড়ো হয়। এ সময় কাকরাইল মসজিদের সামনের পুলিশ বক্সটি ভাঙচুর করে তারা। কাকরাইল মসজিদের উত্তর পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা সাংবাদিকদের দুটি মোটরসাইলেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। একটি পিকআপে আগুন দেওয়ারও চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।

এরপর শিক্ষা ভবনের সামনের মোড়েও পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুজনকে পুলিশ আটক করে গাড়িতে তুলে নেয়। পুলিশ সেখানে ২৪টি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে জড়ো হওয়া সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে শতাধিক আহত : সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায়  সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীকে গতকাল বাসা থেকে বের হতে দেয়নি পুলিশ। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় থেমে থেমে গুলির শব্দও শোনা যায়। চট্টগ্রাম নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ১০ পুলিশসহ অন্তত ২২ নেতাকর্মী আহত হয়। নাসিমন ভবনের সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়লে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয়। গতকাল দুপুর দেড়টায় নগরীর কাজীর দেউড়ির বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খুলনায় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শহীদ হাদিস পার্ক এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের বেশির ভাগকে স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির এক নেতা দাবি করেছেন। কয়েক দিন ধরে খুলনায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। গতকাল দুপুরে খালেদার রায় ঘোষণার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নগরের বেশির ভাগ দোকানপাট, ব্যবসাকেন্দ্র, ব্যাংক-বীমার ফটক বন্ধ হয়ে যায়। রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্ক এলাকায় বিএনপির মহানগর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা সমাবেশ করে। এ সময় আতঙ্কে দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তল্লাশি করে নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে দেয়।

দিনাজপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বোঝাই একটি বাসে ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। চাঁদপুর শহরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এক কনস্টেবলসহ তিনজন আহত হয়েছে। হবিগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্থানীয় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একদল কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়েছে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীসহ কমপক্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়।

এ ছাড়া ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে গতকাল রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামমুখী বিজয় এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা-বাঁকাল সড়কের বাঁকাল মোড়ে গতকাল সন্ধ্যায় একটি এসি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একে ট্রাভেলসের বাসটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় সেটি রাস্তার পাশে রাখা ছিল।

পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এতে চারজন আহত হয়। শেরপুরে শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে পাথরবোঝাই একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শেরপুরে  আকস্মিক হামলা চালিয়ে দুটি ট্রাক ও দুটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিএনপি মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ঝর্না মান্নান আহত হন।

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার ৩৪৭ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও জামায়াতের ৩৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত এসব গ্রেপ্তার অভিযান চালনা করা হয়।

রাজধানীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও ছাত্রদল সভাপতিসহ ২০ জন আটক হয়েছে। সিলেটে বিএনপির ৬৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। চট্টগ্রামে নগরে নাসিমন ভবনের ভেতরে ঢুকে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎসহ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করে। পঞ্চগড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ঝালকাঠিতে বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জামায়াত-বিএনপির চারজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ২১ নেতাকর্মীসহ ৬৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নাটোরের নাশকতা সৃষ্টির শঙ্কায় বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি, নারী ভাইস চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। কুড়িগ্রাম বিএনপি-জামায়াতের ২৪ নেতাকর্মীসহ ৫৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মাসুম ও যুবদল নেতা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে পুলিশ। নীলফামারীতে বিএনপি জামায়াতের ১৮ নেতাকর্মীসহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

বরগুনা জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. গোলাম জাকারিয়া কিরণসহ বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া ছাত্রদলকর্মী সন্দেহে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গাইবান্ধায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই বিএনপি নেতাকে আটক করেছে। দিনাজপুরে শিক্ষার্থীদের বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সংঘর্ষের ঘটনায় সাত বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরগুনায় জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের যুবদলের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। খুলনায় বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।