English Version
আপডেট : ২১ জানুয়ারি, ২০১৮ ১০:৪৭

রং নম্বরে প্রেম করে শিক্ষার্থীর সর্বনাশ

অনলাইন ডেস্ক
রং নম্বরে প্রেম করে শিক্ষার্থীর সর্বনাশ

জানা গেছে, ফুলতলা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় তুলে দুইদিন ধরে ওই শিক্ষার্থী কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বাসার অন্য ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার বিকেলে চকরিয়া থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করে।

চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ভিকটিম মাদরসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তার বাড়ি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নে। কিছুদিন আগে মোবাইলের রং নম্বরে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলেন পেকুয়া উপজেলার টৈইটং ইউনিয়নের বাসিন্দা এক সন্তানের জনক নেজাম উদ্দিন। প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুইদিন আগে (বৃহস্পতিবার) সকালে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে আনেন নেজাম উদ্দিন।

এরপর চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় উঠেন তারা। শনিবার স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ঘটনাটি জানার পর থানার ওসির নির্দেশে অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নেয়া হয়।

জানতে চাইলে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব বলেন, শুনেছি ফুলতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তুলে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে সংসার শুরু করে আটককৃত নেজাম উদ্দিন। নেজাম বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক হলেও ভিকটিমের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তার সর্বনাশ করেছে।

চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুইদিন ধরে চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় তুলে কিশোরীর সঙ্গে সংসার করার ঘটনাটি স্থানীয় জনগণের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা থানা পুলিশকে জানালে সত্যতা যাছাইয়ের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।