English Version
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ১৬:০৮

স্বামী বিদেশে তবু জন্ম নিলো শিশু, নবজাতককে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
স্বামী বিদেশে তবু জন্ম নিলো শিশু, নবজাতককে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা

পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য অনেকেই পাড়ি জমান বিদেশে। তেমনি মানিক হোসেন গেলেন কাতারে। স্বপ্ন একটাই পরিবারকে আর্থিক সচ্ছল করা। স্বামী বিদেশে তবু জন্ম নিলো শিশু। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামী বিদেশ থাকার কারণে রিনা বেগম নামের এক নারী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরই ফলে জন্ম নেয় এক নবজাতক শিশুর। রিনা বেগম তার পরকীয়ায় জন্ম নেওয়া সেই এক দিনের নবজাতকে হত্যা করেছে বলে এমনটাই স্বামীর পরিবার থেকে অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার, ১৬ অক্টোবর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা উত্তরপাড়া গ্রামের মানিক হোসেনের স্ত্রী হচ্ছে রিনা বেগম। মানিক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কাতারে আছেন। স্বামীর দীর্ঘদিনের এই অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন, এমনটাই জানা গেছে। হঠাৎ এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে গত রোববার, ১৫ই অক্টোবর রিনা তার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি মুশুরিয়াঘোনা গ্রামে গিয়ে সোমবার ১৬ অক্টোবর একটা সন্তান প্রসব করেন। এরপরে ওই নবজাতককে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায় রিনা বেগম। এ সময় তার বাড়ির লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে রিনা বেগম ও তার সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেই হাসপাতালেই সন্ধ্যায় শিশুটি মারা যায়।

মানিক হোসেনের পিতা মো. বজলুর রহমানের অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে মানিক দীর্ঘদিন বিদেশ থাকে। পুত্রবধুর যে সন্তান হয়েছে তা অবৈধ। পরকীয়ায় সন্তান হওয়ার কথা জানাজানি হবে এই কথা ভেবে তার পুত্রবধু রিনা বেগম সন্তানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।

এছাড়াও শিশু হত্যার ঘটনায় তারা মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। তারা পাষাণ রিনা বেগমকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক (তদন্তকারী কর্মকর্তা) মো. আলমগীর কবির জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।