English Version
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৪:৫২

তেজগাঁওয়ের ফুটপাত ফের অবৈধ দখলে

অনলাইন ডেস্ক
তেজগাঁওয়ের ফুটপাত ফের অবৈধ দখলে

চলতি বছর রমজানের আগেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একাধিক জায়গায় অবৈধভাবে বসা ফুটপাতের দোকানগুলো দেখা যায়নি। উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের চেষ্টায় নগরবাসী তখন কিছুটা হলেও শান্তিপূর্ণভাবে ফুটপাতে চলাফেরা করেছেন। তবে মেয়র আনিসুল হকের অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিতির সুযোগে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি রাস্তার ফুটপাতে আবারও দেখা উচ্ছেদ করা সেই অবৈধ দোকান। কেউ কোরবানি ঈদের পর, আবার কেউ ১৫-২০ দিন আগে ফুটপাত দখল করে এসব দোকান বসিয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের দক্ষিণ বেগুনবাড়ি এলাকায় কয়েক মাস আগেও ফুটপাতমুক্ত ছিল। এ কারণে এলাকার মানুষ খুব সহজে ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করত। কিন্তু এখন আবার ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করতে আগের মতো কষ্ট হয়। ফুটপাত দখল করে চায়ের দোকান দেওয়া ইব্রাহিম বলেন, কোরবানি ঈদের পর আবার বসেছি দোকান নিয়ে। এখন তেমন কোনো ঝামেলা হয় না, পুলিশও কিছু বলে না। শান্তিতে দোকান করতে পারছি। একই সুরে কথা বলেন ফুটপাত দখল করা আরেক দোকানদার মাকসুদুর। তিনি বলেন, ১০ দিন আগে ভয়ে ভয়ে ফুটপাতে বসেছি। তবে এখনো কেউ উচ্ছেদ করেনি। প্রতিদিন রাত পর্যন্ত দোকান করছি কোনো ঝামেলা হয় না। তবে ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের কোনো ঝামেলা না থাকলেও এখন সব ঝামেলা রাস্তার পথচারীদের। কেননা পথচারীদের আগের মতোই কষ্ট করে রাস্তায় চলাফেরা করতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে পথচারী আবদুল্লাহ বলেন, কয়েক দিন আগেও ফুটপাত দিয়ে খুব নির্বিঘেœ চলাচল করেছি, আর এখন আগের মতোই কষ্ট করতে হচ্ছে। কেন এমন হচ্ছে, জানতে চাইলে চাকরিজীবী আবদুল্লাহ বলেন, মেয়রের অনুপস্থিতিতে অনেকেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে। কেউ কোনো নিয়ম মানছে না। যে যার মতো করে ফুটপাত দখল করছে। পুলিশও এ ক্ষেত্রে কিছুই বলে না।

কলেজশিক্ষার্থী তানিয়া বলেন, মেয়র অসুস্থ হয়ে দেশের বাইরে রয়েছেন তার কাজগুলো এলাকার কাউন্সিলররা করতে পারেন। তারা এ বিষয়গুলোতে নজর রাখলে এ সমস্যাগুলো হতো না।

দক্ষিণ বেগুনবাড়ির মতো একই অবস্থা এফডিসির পাশের রাস্তার। মাছ বিক্রেতারা ফুটপাতের প্রায় সব জায়গা দখল করে মাছ বিক্রি করছেন। রাস্তার ওপর অস্থায়ী খাবারের হোটেল বসিয়ে ব্যবসা করছেন। পথচারীরা রাস্তায় এবং ফুটপাতে কোনো রকম ঠেলাঠেলি করে হাঁটছেন।

পথচারী রাশেদ বলেন, কয়েক মাস আগেও এই ফুটপাত মুক্ত ছিল। হঠাৎ করেই কিছুদিন ধরে দেখছি মাছ নিয়ে একদল মাছ বিক্রেতা বসেছেন। রাস্তার গাড়ি আর ফুটপাত দখল কোনো রকম ভোগান্তি নিয়ে হাঁটতে হয়।

তবে ফুটপাত দখল নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম বলেন, মেয়র আনিসুল হকের ঢাকা উত্তরে কর্মপরিকল্পনার মধ্যে প্রধান একটি পরিকল্পনা অবৈধ ফুটপাত মুক্ত করা। যেটা তিনি খুব সুন্দরভাবে করেছেন। অনেক জায়গার ফুটপাত মুক্ত হয়েছে, অনেক জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে।

‘মেয়রের অনুপস্থিতিতে কোনো কাজের গতি থেমে নেই। তিনি থাকাকালীন যেসব কাজ চলমান ছিল সেগুলো এখনো চলমান আছে। কিছুদিন আগেও মিরপুর ১০ নম্বরের একটি খাল উচ্ছেদ করা হয়েছে। বিহারিপট্টি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার নর্দমা, বর্জ্য অপসারণ করাসহ উত্তরা ও গুলশানের কাজগুলো কাউন্সিলররা দায়িত্ব নিয়ে করছেন।

তিনি আরো বলেন, রাস্তা সংস্কারের কাজ অনেকটা শেষ পর্যায়ে। বর্ষার সময় কাজ বন্ধ ছিল এখন আবার পুরো দমে চলছে। কাজের ব্যাপারে উত্তর সিটি করপোরেশন জিরো টলারেন্স। মেয়র না থাকায় উত্তরের জনগণের প্রত্যাশা কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।