English Version
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৫:২৪

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পেপারবুক প্রস্তুত

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পেপারবুক প্রস্তুত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় দর্জি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত‌্যুদণ্ডের অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) ও আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরি হয়েছে।

হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার  সাংবাদিকদের বলেন, পেপারবুক প্রস্তুত। নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি এখন ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ ঠিক করে দেবেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার খবর ও ছবি সারা বিশ্বেই আলোড়ন তোলে। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের কর্মী হওয়ায় সরকারও বিরোধীদলের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে। 

পরের বছর ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ২১ আসামির মধ্যে আট জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন তিনি।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বেআইনি সমাবেশের আরেকটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ১৩ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া আট আসামি: রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা, রাজন তালুকদার ও মীর নূরে আলম লিমন। এদের মধ্যে শেষ দুই জন পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেরর ১৩ আসামি: গোলাম মোস্তফা, এ এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন।

আসামিদের মধ‌্যে মৃত‌্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া রাজন ও লিমন এবং যাবজ্জীবনের আসামি ইউনুস, তমাল, আলাউদ্দিন, তাহসিন, ইমরান, আজিজ, আল-আমিন, রফিকুল, পাভেল, কামরুল ও মোশাররফ রায়ের সময় পলাতক ছিলেন।

ওই রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাই কোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিদের পক্ষ থেকেও আপিল আবেদন জমা পড়ে।