English Version
আপডেট : ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০৯:২৬

এমপি লিটন হত্যা: সুন্দরগঞ্জে পৌর মেয়রকে জিজ্ঞাসাবাদ

এল এন শাহী,
নিজস্ব প্রতিবেদক
এমপি লিটন হত্যা: সুন্দরগঞ্জে পৌর মেয়রকে জিজ্ঞাসাবাদ

গাইবান্ধা: এমপি লিটন হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত জামায়াত ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এ নিয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। থানার পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইএর কর্মকর্তারা এলাকায় অবস্থান করে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। 

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন রাজনৈতিক শত্রুতা, জামায়াত-শিবির ও নব্য জঙ্গির সংশ্লিষ্টতা, জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে অত্যান্ত নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে এই হত্যা রহস্যের জট খুলতে সময় লাগছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। খুব তাড়াতাড়ি এসব তথ্যের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনের আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ঢাকা থেকে আসা গোয়েন্দা বিভাগের একটি বিশেষ দল সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল্যাহ আল মামুনকে সুন্দরগঞ্জ থানায় ডেকে নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে এ বিষয়ে পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ বা মেয়রের পক্ষ থেকে কোনো তথ্যই জানা যায়নি। 

শিশু শাহাদত হোসেন সৌরভের ওপর এমপি লিটনের গুলির ঘটনায় দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে লিটনবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন মেয়র আব্দুল্যাহ আল মামুন। লিটনের শাস্তির দাবিতে তারা মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ, এমনকি এমপি লিটন সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের দাবিও তোলেন। লিটনবিরোধী এই উপদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আহসান হাবীব মাসুদও।

মেয়র আব্দুল্যাহ আল মামুন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ছিলেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুবার নির্বাচন করে পরাজিত হন। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে লিটন তাকে সক্রিয় সহযোগিতা ও সমর্থন দেন। কিন্তু মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি লিটনবিরোধী ভূমিকা নেন।