কুমিল্লায় মাদকের টাকা না পেয়ে কোরআন শরীফে আগুন!
আবু সাঈদ নাঈম ষ্টাফ রিপোর্টার ● কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ্বর গ্রামের মৃত রেহান উদ্দিনের রেনু মিয়ার ছেলে মাদকাসক্ত জয়নাল আবদীন (৩৫) গত ১৯ নভেম্বর শনিবার রাত ১১ টায় মাদকের টাকা পরিবার থেকে চেয়ে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ২টি পবিত্র কোরআন শরীফ একটি টুকরির (বাঁশের তৈরী উরা) ভেতরে রেখে খড় দিয়ে আগুণ ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক ভাবে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায, ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাদক সহজলভ্য হওয়ায় উঠতি বয়সী যুবক ও স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া,উক্ত এলাকায় একাধিক মাদক ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ফলে মাদক সেবনের টাকার জন্য প্রতিনিয়তই চুরি ছিনতাই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ নভেম্বর রাত ১১ টায় মাদকাসক্ত জয়নাল আবেদীন (৩৫) মাদক সেবনের টাকার জন্য পরিবারের লোকজনদেরকে চাপ সৃষ্টি করে। পারিবারে লোকজন তাকে মাদক সেবনের জন্য টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে দুটি পবিত্র কোরআন শরীফে আগুণ লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনার জের ধরে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বুড়িচং থানা পুলিশকে অবহিত করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বারেশ্বর উত্তর পাড়া মরহুম কাইম উদ্দিন হাজীর বাড়ীর মৃত রেহান উদ্দিন রেনু মিয়ার ছেলে মোঃ জয়নাল আবদীন পাশের বাড়ীর হালিমের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের ঘর থেকে শনিবার রাত ১১ টায় পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে যায়। এরপর সে রাত ১২ টার দিকে কোরআন শরীফগুলোতে আগুণ ধরিয়ে দিলে পবিত্র কোরআন শরীফের সাদা অংশগুলো পুড়ে যায় এবং লেখা অংশ অক্ষত থাকে। এলাকাবাসী পবিত্র কোরআন শরীফের অক্ষত অংশ বিশেষ সংগ্রহ করে পাশের কবরস্থানের মাটি খুড়ে চাপা দেয়। অভিযুক্ত মোঃ জয়নাল আবদীনকে আটক করা হয়েছে। এই ব্যাপারে বুড়িচং থানার এস আই মোঃ সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও ক্ষতি সাধন সংক্রান্ত আইনে বুড়িচং থানায় অভিযুক্ত মোঃ জয়নাল আবদীনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বুড়িচং থানার মামলা নং-২৫। এই ব্যাপারে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ ( তদন্ত) মোঃ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করার জন্য বলেন।