English Version
আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:০১

৩ ঘণ্টা সাঁতরে টেকনাফে ১১ রোহিঙ্গা

অনলাইন ডেস্ক
৩ ঘণ্টা সাঁতরে টেকনাফে ১১ রোহিঙ্গা

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা তরুণদের টার্গেট করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে ঢুকে প্রথমেই রোহিঙ্গা যুবকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। মিয়ানমার বাহিনীর হাত থেকে জীবন বাঁচাতে ১৫ দিন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন ১১ রোহিঙ্গা তরুণ। গাছের পাতা ও ফলমূল খেয়ে তারা বেঁচে ছিলেন।

বুধবার সুযোগ পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন ঘণ্টা সাঁতার কেটে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের শাহপরীর দ্বীপে পালিয়ে আসেন তারা। সাঁতার কেটে আসা যুবক হামিদ হোসেন বলেন, তাদের পুরো গ্রাম মিয়ানমারের বাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে। ধরে ধরে তাদের গ্রামের যুবকদের হত্যা করেছে।

তিনি জানান, তারা ১১ জন প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন। জঙ্গলে থাকা অবস্থায় ২-৩ দিন না খেয়েও ছিলেন। গাছের ফল-মূল ও পানি খেয়ে কোনোমতে বেঁচে ছিলেন। প্রায় ১৫ দিন পর গতকাল সকালে সুযোগ বুঝে পানির খালি ড্রাম কাঁধে নিয়ে সাঁতার কেটে শাহাপরীর দ্বীপে চলে আসেন তারা।

রোহিঙ্গা তরুণরা জানান, সকাল ৭টার সময় মিয়ানমারের ওপার থেকে সাঁতার কাটা শুরু করেন। সকাল ১০টায় শাহাপরীর দ্বীপের নাফ নদীর পাড় থেকে কোস্ট গার্ড তাদেরকে উদ্ধার করে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে নিয়ে আসেন।

কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপ স্টেশনের কমান্ডার লে. জাফর ইমাম সজীব জানান, পানির খালি ড্রাম নিয়ে সাঁতার কেটে ১১ জন বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। এরমধ্য পাঁচজন নাফ নদীর পাড়ের কাছে চলে আসলেও অপর ছয়জন দূরে ছিলেন। তারা ক্লান্ত হয়ে যান। কোস্টগার্ডের টহল দল তাদের দেখে উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃতদের মধ্য ১৫ বছরের নিচে তিন শিশু রয়েছে। তারা মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে সাঁতার কেটে বাংলাদেশে আসছিল। টানা তিন ঘণ্টা তাদের সাঁতার কাটতে হয়। চিকিৎসা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণ করতে তাদেরকে বিজিবি কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।