English Version
আপডেট : ২ অক্টোবর, ২০১৭ ১৬:২০

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে রমরমা বাণিজ্য

অনলাইন ডেস্ক
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে রমরমা বাণিজ্য

এখনো বাংলাদেশে ঢুকছেন রোহিঙ্গারা শরণার্থীরা। তবে রুট পরিবর্তন করে এবার নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছেন তারা। এদিকে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাণিজ্যে নেমেছে দালাল চক্র।

রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, বাংলাদেশে প্রবেশে সাহায্য করার বিনিময়ে স্বর্ণালংকার, মূল্যবান দ্রব্য ও মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। পুলিশের দাবি, দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

গত ২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর থেকে প্রথম দিকে উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এরপর গত তিন সপ্তাহে বান্দরবনের ঘুমধুম, তমব্রু, জলপাইতলির পাশাপাশি টেকনাফের লম্বারবিল ও কাঞ্জরপাড়া সীমান্তসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

গত এক সপ্তাহে অন্য সব সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা প্রবেশ কমলেও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে এখনো বাংলাদেশে ঢুকছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। তাদের পালিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে মূল্যবান দ্রব্যাদির পাশাপাশি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালালচক্র।

রোহিঙ্গাদের সহায়তার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালেন এ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘দালালেরা ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। কিন্তু ইদানীং শুনছি ৫০-৭০ হাজার করেও টাকা নিচ্ছে।

তবে সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একে এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘যারা রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে দেয় বা যারা সাহায্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। গোয়েন্দা নজরদারি রেখেছি।’

পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নৌকা ডুবিতে মৃত্যু হয়েছে ১শ ৩৫জন রোহিঙ্গার। যার অধিকাংশই শিশু ও নারী।

সুত্রঃ সময় টিভি