English Version
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:৪৪

রাজশাহীতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ

নাজমুস সাকিব,
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
শৈত্যপ্রবাহ-ফাইল ছবি

রাজশাহী: গেল কয়েকদিন রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। তবে তাপমাত্রার পারদ নিচে নেমে এই শৈত্যপ্রবাহ এবার তীব্র হয়েছে। 

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম জানান, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। তবে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী রাজশাহীতে এখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে।

তিনি আরও জানান, শনিবার ভোর ৬টায় রাজশাহীতে বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। তবে সকাল সাড়ে ৮টায় বাতাসের আদ্রতা দাঁড়ায় ৬২ শতাংশে। 

এর আগে শুক্রবার মৌসুমের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে হঠাৎ হাড়কাপানো এ তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে সাময়িকভাবে তারা ঠান্ডা তাড়িয়ে উষ্ণতা খোঁজার চেষ্টা করছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের ২৩ জানুয়ারী রাজশাহীতে ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শনিবারের ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে কনকনে শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে রাজশাহীর নিম্ন আয়ের মানুষগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোয়। আবার গরম কাপড় না পাওয়ায় শীতে আক্রান্ত হয়ে ছিন্নমূল অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়ছেন। ফলে বাড়ছে শীতজনিত রোগের মাত্রা। হাসপাতালেও ভিড় বাড়ছে বিভিন্ন বয়সী রোগিদের।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকদিন আগের বৃষ্টির পর থেকেই তাপমাত্রার পারদ নিচে নামছে। এর সঙ্গে রাতে দেখা দিচ্ছে প্রচণ্ড কুয়াশা। এ অবস্থা চলতে পারে আরও কয়েকদিন। এরপর বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তখন দুর্ভোগ কমবে মানুষের।