English Version
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:২৪

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

অনলাইন ডেস্ক
নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা গতকাল রোববার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকেই চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। তবে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ইলিশ ধরতে পারবেন না জেলেরা।

২২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশের ইলিশ অধ্যুষিত নদ-নদীতে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল সরকারের। মা ইলিশ সংরক্ষণ, মা ইলিশ রক্ষা ও স্বাচ্ছন্দে ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রোববার এ নিষেধাজ্ঞার সময় অতিবাহিত হওয়ায় আবার শুরু হলো ইলিশ ধরার কার্যক্রম।

সরকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আজ  থেকে কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম -এই ২৭ জেলার জেলেরা নদ-নদীতে ইলিশ ধরতে পারবেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিসার মো. সফিকুর রহমান জানান, এখন নদীতে মাছ ধরতে কোনো আইনি বাধা নেই। মাছ ধরতে পারার খবরে জেলেপাড়ায় চলছে আনন্দ উৎসব।

মাছ ধরা নিষিদ্ধ চলাকালে এ বছর চাঁদপুর জেলায় জেলেদের মধ্যে খাদ্য-সহায়তার আওতায় ৩৬ হাজার ৫৭৫ জন জেলে পরিবারের জন্য ৭৩১.৫ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আবদুস সবুর ম-লের নেতৃত্বে এ বছর নদীতে ইলিশ রক্ষায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে। 

এবার প্রশাসন অনেকাংশে ইলিশ রক্ষায় সফল হয়েছে বলে জানায় জেলা ইলিশ রক্ষা ট্রাস্কফোর্স। অধিকাংশ জেলেরা সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান তারা। সব উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জনপ্রতিনিধিরাও দিনরাত পরিশ্রম করে ইলিশ রক্ষায় কাজ করেছেন বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুর রহমান।

অন্যদিক বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ১০ বছর আগেও দেশের মাত্র ২১টি উপজেলার নদীতে ইলিশ পাওয়া যেত। এখন দেশের ১২৫টি উপজেলার বিভিন্ন নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়।