English Version
আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:১৫

ক্ষতির মুখে সাতক্ষীরার আলু ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্ক
ক্ষতির মুখে সাতক্ষীরার আলু ব্যবসায়ীরা

ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার মজুদ আলু ব্যবসায়ীরা। হিমাগার ভাড়া দিয়ে প্রতি কেজি আলু ক্রয় মূল্য পড়েছে সাড়ে ১৭-১৮ টাকা। ফলে প্রতি বস্তায় কমপক্ষে ৪০০ টাকা ও প্রতি ট্রাকে কমপক্ষে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে আলু ব্যবসায়ীদের।

বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি আলুর পাইকারী দর ১২-১৩ টাকা। অন্যদিকে, সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর বড়বাজার, কাটিয়া টাউন বাজার, ইটাগাছা বাজার, কাটিয়া মিলবাজারসহ বিভিন্ন হাটে-বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে।

সাতক্ষীরার অন্যতম মজুদ আলু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাতক্ষীরা আইস অ্যান্ড কোল্ড-স্টোরেজের মালিক শেখ মহসিন আলী জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৫০ হাজার বস্তা কাঠিলাল ও ডায়মন্ড জাতের গোল আলু ক্রয় করে নিজস্ব হিমাগারে রেখেছিলেন। হিমাগারের খরচ দিয়ে প্রতি বস্তা আলুতে ক্রয় মূল্য পড়েছে ১ হাজার ৫শ টাকা। বাজারে এখন প্রতি বস্তা আলু পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকা। ফলে প্রতি বস্তায় ৪শ টাকার উপরে লোকসান যাচ্ছে। এই দাম অব্যাহত থাকলে ৫০ হাজার বস্তা আলুতে কমপক্ষে ২ কোটি টাকা লোকসান হবে।

লোকসানের কারণ হিসেবে তিনি জানান, সাতক্ষীরাতে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ আলু মজুদ করার পাশাপাশি দেশের বাইরে রপ্তানি না হওয়া অন্যতম কারণ। জেলাতে বছরে সর্বোচ্চ এক লাখ টন আলু চাহিদা রয়েছে। সেখানে জেলার ৫টি হিমাগারে ২ লাখ টনের উপরে আলু মজুদ রয়েছে। মজুদকৃত আলুর এ পর্যন্ত মাত্র ২৫ শতাংশ বাজারে বিক্রি হয়েছে।

সুলতানপুর বড়বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী জানান, বাজারে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ গোল আলু আসছে। কিন্ত সে অনুপাতে চাহিদা নেই। ফলে অবিক্রি রয়ে যাচ্ছে শত শত বস্তা আলু। এতে পাইকারি ও মজুদ উভয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।