English Version
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:১৩
সূত্র:

কাউন্সিলের আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল

কাউন্সিলের আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হবে ২০ এবং ২১ ডিসেম্বর। কাউন্সিলের আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী পরিষদে একটা রদবদল করবেন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতাকে তিনি এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। এমনকি আগামী ৮ ডিসেম্বর যেদিন থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষীকির কাউন্ট ডাউন শুরু হবে তার আগেও মন্ত্রী পরিষদের রদবদল করা হবে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, সরকারের মেয়াদপূর্তি প্রায় ১ বছর হতে চললো। এই সময়ে মন্ত্রিসভার রদবদলের প্রধান কারণ হলো ৩টি।

১. ৭ জানুয়ারি যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে বিশেষ করে সাম্প্রতিক শুদ্ধি অভিযানে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।

২. আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্যাগি পরীক্ষিত যেসমস্ত নেতাকর্মী আছেন। যারা দলের সংকট সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু পরবর্তীতে মূল্যায়ন করা হয়নি এরকম কয়েকজনকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে যেন কাউন্সিলের আগে তাদেরকে সম্মানিত করা যায়।

৩. আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল এবং সরকারকে আলাদা করার নীতি গ্রহণ করেছেন। দলের একাধিক নীতি নির্ধারক বৈঠকে তিনি সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন দল এবং সরকার আলাদা করার উদ্যোগ হিসেবে মন্ত্রিসভার পরিবর্তন আসতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এবার কাউন্সিলের পর যারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকবেন তারা মন্ত্রীত্ব পাবেন না। এবং যারা মন্ত্রীত্বে থাকবেন তারা দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন না।

সূত্রগুলো বলছে আওয়ামী লীহ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নীতিতে এখন পর্যন্ত অনড় অবস্থানে আছেন। সেটি যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত দলের অনেক হেভিওয়েট নেতা যারা সরকারের মন্ত্রী এবং দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন তাদের যে কোনো একটা ছাড়তে হবে।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এনামুল হক শামীমসহ সম্পাদক মণ্ডলীর আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন যারা একই সাথে মন্ত্রীত্ব ও দলের পদ ভোগ করছেন। এই জায়গাটাই আলাদা করা হবে।

একাধিক সূত্র বলছে যে, আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনা কাউন্সিলের আগেই যারা এখন মন্ত্রী এবং পদ, দুটো নিয়েই আছেন তাদের কাছে মতামত নেবেন তারা কোনটি রাখতে চান। তারা যদি মন্ত্রীত্ব রাখতে চান তাহলে তাদেরকে দলের কাউন্সিলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হবে না। আর তারা যদি দলের পদ চান তাহলে সেই বিবেচনায় সেক্ষেত্রে তাদেরকে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হবে।

এই সব হিসেব নিকেশ করেই কাউন্সিলের আগেই মন্ত্রিসভার একটি রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এর আগেই মন্ত্রিসভার রদ-বদল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে রদ-বদল প্রক্রিয়া থেমে যায়। এখন কাউন্সিলের আগে দলে রদ-বদল করে দল এবং সরকারকে তিনি আলাদা করতে চান।