English Version
আপডেট : ২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৪:১৫

‘ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া’

অনলাইন ডেস্ক
‘ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া’

অচিরেই দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু।

সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,আপনাদের মিথ্যা মামলার দিন অচিরেই শেষ হয়ে আসবে। এই দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার কারণে একদিন আপনাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এই দেশ গণতান্ত্রিক মানুষের দেশ এই দেশ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মুক্তি দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য সেই গণতন্ত্র এখন বাংলাদেশে নেই। মানুষের বাক স্বাধীনতা লেখার স্বাধীনতা বলার স্বাধীনতা ভোটাধিকার নেই। এমনকি সংগঠন করার ও স্বাধীনতা নেই। দেশে এখন পুলিশ এবং বর্তমান অবৈধ সরকার ছাড়া আর কিছু নেই। ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে একটির পর আরেকটি শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা নয় ছয় করা হচ্ছে। সেখানে কেউ গ্রেফতার হয়েছে কি না জানা নেই ?

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আগামী দিনে যিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিবেন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে তিনি বেগম খালেদা জিয়া। সেই খালেদা জিয়াকে অপমান, নাজেহাল ও নির্যাতন করার জন্য তাকে বারবার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক শক্তিকে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এটি করা হয়েছে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, নির্বাচনের কথা শুনলেই সরকার নার্ভাস হয়ে যায়। বিএনপি নির্বাচন করবে এ কথা শুনলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। আর সেই নির্বাচন যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা সহায়ক সরকার পরিচালনা করবে এমন কথা শুনলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের জন্য আমার মনে হয় ঘুমই হারাম হয়ে যায়। তবে সত্য এবং বাস্তবতা হচ্ছে এই মাসের পরে ২০১৮ সাল আসছে সেই বছর যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে এবং আরও সংবাদ হচ্ছে সেই নির্বাচন শেখ হাসিনার অধিনে হবে না। বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল যে অবস্থানে থাকবে সেই অবস্থানেই তাকেও (শেখ হাসিনা )নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সমানে সমানে লড়াই হবে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আসবে। উৎসমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। সেটিই সংবিধানে ছিল হাসিনা সেটি পরিবর্তন করেছেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির তথ্য ও গভেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুস মৃদা, জিনাফের সভাপতি মিয়া মুহাম্মাদ আনোয়ার, শিক্ষক নেতা সেলিম মিয়া প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম।