English Version
আপডেট : ৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০৬:৫৩

বিএনপিকে লাইফ সাপোর্টে আসতে বেশি বাকি নেই : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন ডেস্ক
বিএনপিকে লাইফ সাপোর্টে আসতে বেশি বাকি নেই : ওবায়দুল কাদের

নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, তাতে দলটিকে লাইফ সাপোর্টে আসতে বেশি বাকি নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে আজকে সারা দুনিয়ায় আলোড়ন, সেই আলোড়ন বিএনপির চেয়ারপারসনের মধ্যে পেলাম না। সংকটের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের পার্টি, আমি নিজেই শেখ হাসিনার নির্দেশে রোহিঙ্গাদের মাঝে পড়ে আছি।

তিনি বলেন, লোক দেখানো ফটোসেশনের জন্য তাদের দলের কেউ কেউ গেলেন। আমি সেখানে ২০ দিন ছিলাম। আর মির্জা ফখরুল সাহেব গেলেন মাত্র একদিন। আর একদিন গিয়েও শুধু অভিযোগের কথা বলা। সারা দুনিয়া বলছে সরকার সফল, আর বিএনপি বলছে সরকার ব্যর্থ। দেশের জনগণ বলছে এ সংকটে সময়োচিত নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, কিন্তু এ প্রশংসা বিএনপি করতে পারেনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, আমার কাছে মনে হয় কখন যে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যেতে হয়। সেই অবস্থায় আসতে এ দলের আর বেশি বাকি নেই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে লন্ডনে বসে কি ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন, তা জাতি জানতে চায়। এর তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্তে সাহায্য করার জন্য স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, এমআই সিক্সসহ বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমরা অনুরোধ করছি। ’

আগামী ৭ অক্টোবর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরা উপলক্ষে গণসংবর্ধনা সফল করতে আওয়ামী লীগের সাথে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগরের সকল দলীয় সংসদ সদস্যদের সাথে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান বিচারপ্রতিকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের দেয়া বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে দল থেকে এ অভিযোগ করা হচ্ছে সেই দলের নেত্রী কি কারণে এতদিন বিদেশে আছেন? অসুস্থতার কথাইতো বলেছিলেন। সময় ছিলো দুইমাস। এখন দুই মাস পেরিয়ে তিনমাস, তিনমাসের পরেও আরও কয়েকদিন। তিনি এখনও এলেন না। সূত্র : বাসস।