English Version
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ১৮:২৮

সেনাবাহিনীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারতো না : শেখ ফজলুল করিম

সেনাবাহিনীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারতো না : শেখ ফজলুল করিম

 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম এমপি বলেছেন, শফিউল্লাহ, জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, সাখাওয়াত জামিলরা যদি এগিয়ে আসতো তাহলে কয়েকজন খুনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারতো না।

 

এরা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে ওই কয়েকজন খুনি পালানোর জায়গাও খুঁজে পেতে না। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, তাহলে কি কারণে, কি রহস্যের জন্য ওই সেনা কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে আসেনি? এর জবাব জাতি জানতে চায়।  এটা জানার জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবী জানান তিনি।

 

সোমবার বেলা ১১ টায় ডিস্ট্রিক আই কেয়ার প্রোগ্রাম ভিশন বাংলাদেশ এর আওতায় চক্ষু স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে সাইটসেভার্স এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

 

শেখ সেলিম আরো বলেন, সেনাবহিনীর সমস্ত নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে মাত্র ১৫ জন অফিসার কিভাবে ক্যান্টারমেন্টে ঢুকে। সেনাবাহিনীর কমান্ড ভঙ্গ করে তারা সেখান থেকে বের হয়ে গেলো, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তাদের (সেনা কর্মকর্তাদের)নৈতিক দায়িত্ব ছিলো। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিলো। 

 

তাদের গ্রেফতার করে কোর্ট মার্শাল করা উচিত ছিলো।তা’না করে ওইসব খুনিদের নিয়ে তৎকালিন সেনা কর্মকর্তারা মোস্তাকের পক্ষে অবস্থান নিলো। তাহলে ধরে নিতে হবে এসব সেনা কর্মকর্তারা সবই জানতো।

 

তিনি বলেন, কিভাবে দেড় লক্ষ সেনা সদস্য ১৫ জন অফিসার ও দুইশ’ সেপাইয়ের কাছে স্যালেন্ডার করতে পারে! এটা হতে পারে না। এ জন্য একটা তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। কারণ সেদিন (৭৫-র ১৫ আগষ্ট) সকাল ৬টার পর কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার এক ঘন্টা আগে সেনা প্রধান শফিউল্লাহকে ফোন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু, সেদিন তিনি এগিয়ে আসেননি।

 

শেখ সেলিম আরো বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৭ দিনের মধ্যেই সেনাপ্রধান হন। তাই তদন্ত কমিশন গঠন করে এ ষড়যন্ত্রের সাথে কারা জড়িত ছিলো সেটা বের করতে হবে বলেও তিনি দাবী করেন।

 

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রফেসর ডাঃ সাইফুদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সাইট সেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর খন্দকার আরিফুল ইসলাম, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক বিমল কৃষ্ণ বাইন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, গোপালগঞ্জ পৌরসভা মেয়ার ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান,কাজুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন খান মন্টু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

 

সাইট সেভার্স-এর সহযোগিতায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ওই প্রতিষ্ঠানের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারী অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।