English Version
আপডেট : ১১ আগস্ট, ২০১৭ ১৫:৩৭

দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মকান্ডে বিপাকে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মকান্ডে বিপাকে সরকার

আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবৈধ কর্মকান্ডের কারণেই সরকার বিপাকে পড়তে পারে,এমন আশঙ্কা করছেন দলের হাইকমান্ড। আগামী নির্বাচনের মাত্র দেড় বছর বাকি।এই সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও নিজেদের মধ্যে হানাহানি এবং ধর্ষণের মতো ঘটনার কারণে আগামী নির্বাচনে বড় ধরণের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

আওয়ামী লীগের শাসনের শুরুতেই ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় এক নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত হয় ৫৮জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা।

সম্প্রতি বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণ ও মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার। এ ঘটনা দেশের গণমাধ্যমগুলোর প্রধান শিরোনামও হয়। এছাড়ও স্কুল ছাত্রীর আকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে নিমন্ত্রণ কার্ড ছাপালে আওয়ামী লীগ নেতা বরগুনা জেলার ইউএনওকে হেনস্তা করে। এছাড়া নিজেদের মধ্য কোন্দল,মারামারিও করছে দলীয় নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনা করে শেষ মুহূর্তে এসে চরম সঙ্কটের মুখোমুখি ক্ষমতাসীনরা।এমনটিই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এদিকে বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ভেতরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। দলের ভেতরে ঐক্য থাকলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মনে করছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছে। সরকারের ভেতরে ও দলের শীর্ষ মহলের আশঙ্কা বিএনপি হয়তো কিছুই করতে পারবে না। তবে দলের ভেতরে এমন কোন ঘটনা ঘটতে পারে যাতে জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়। আর সেটা হলে তা এমন পর্যায়ে যাবে সেখান থেকে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলন শুরু করতে পারে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে তৈরী না হয়, সে জন্য দলের হাইকমান্ড বেশ সতর্ক রয়েছে বলে জানাগেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় কোন্দল ও অভ্যন্তরীণ সহিংসতা মেটানোর জন্য এরই মধ্যে দলের জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন দলীয় হাইকমান্ড। তারা যে কোনো মূল্যে নির্বাচনের আগে এই কোন্দল মেটাতে চায়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলী সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় ন্যায় পথে চলে। দলের কোন নেতাকর্মী যদি ক্ষমতা দেখায় তাহলে সে ভুল করবে। বর্তমানে যে দুই একটা ঘটনা ঘঠেছে তার বিচার আমরা চাই এবং বিচার হবে। সামনের নির্বাচনের আরও দেরি আছে। তবে এ ধরণের ঘটনার জন্য নির্বাচনে কোন প্রভাব পরবে না বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে বিশেষ একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী সরকারের ও দলের কোন কাজ নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক তৈরি হোক তা চাইছেন না। এছাড়াও অন্য কোন ইস্যুকে কেন্দ্র করে এখন কোন ধরনের বিতর্ক চাইছেন না। তাই তিনি সব খবরা খবর রাখছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিডি২৪লাইভকে বলেন, অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত বা ক্ষমতা দেখাচ্ছে।দল তাদের বহিষ্কার করছে। আদালত তাদের বিচার করছে।এতে সরকারের উপর কোন প্রভাব পরবে না।আর নির্বাচন এখনো দেরি আছে। এর প্রভাব নির্বাচনের উপর পরার কোন সম্ভাবনা নেই।