English Version
আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০১৭ ০৬:০০

সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে সরকার: রিজভী

অনলাইন ডেস্ক
সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে সরকার: রিজভী

ক্ষমতাসীন দল ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মিলে বিএনপির দেশব্যাপি সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, মানুষ আজ আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখাতে শুরু করেছে।  

তাই তারা নিজ দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিএনপির দেশব্যাপি সদস্য সংগ্রহ কার্যকমে বাধা দিচ্ছে, হামলা করছে, ভাঙচুর করছে এমনকি বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতনও করছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় র্কাযালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, বিশেষ অভিযানের নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও গণগ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জেলা উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের পরিচয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও তাণ্ডবলীলা চালানো হচ্ছে।

রিজভী বলেন, অর্থমন্ত্রী উচিৎ-অনুচিতের এথিক্সের ধার-ধারেন না-এ হচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। আপনারা দেখেছেন কালকে (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমের যারা সাংবাদিক, তাদের যে ওয়েজ বোর্ড সেই ওয়েজ বোর্ড নিয়ে কী ধরণের মানবতাবিরোধী, মানুষের ক্ষুধা ও রুটি-রুজি নিয়ে কী ধরণের বাজে মন্তব্য করেছেন।  

রাবিশ এবং আজে-বাজে কথা-বার্তা বলেছেন সেটা আপনারা নিজেরাই জানেন। দেয়া যাবে না, যা পারবেন করবেন, প্রয়োজনে গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হবে- এটা একজন অর্থমন্ত্রী বলতে পারেন? অর্থমন্ত্রীর এই কথার মধ্য দিয়ে গোটা সরকারের চরিত্রটা ভেসে উঠে।

  আওয়ামী লীগ সরকার বা পুলিশ বিরোধী দলের কোন কর্মসূচিতে বাধা দেয় না- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, সবদিক থেকে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে এখন মিথ্যাচারই হলো তাদের একমাত্র অবলম্বন। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত ও বিরোধী মতকে নির্দয়ভাবে দমন করার পর মিথ্যার মায়াজাল ছড়িয়ে দিচ্ছে।  

বিভিন্ন জেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা ও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে তিনি জানান, নেত্রকোণায় ইমাম হাসান আবু চাঁন, জহিরুল আলম ভূঁইয়া, আব্দুল আউয়াল এবং ফজলুর রহমান রুনুসহ ৫২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

গত ৪ আগষ্ট দুর্গাপুর উপজেলায় বিএনপি’র সদস্য পদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠান পুলিশী হামলায় পন্ড হবার পর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়ীতে বাড়ীতে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।  

ময়মনসিংহে ইনডোর কিংবা আউটডোর কোথাও বিএনপি’র কোন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হবে না বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে। ফেনীর সোনাগাজী ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসকে গত ৭ আগষ্ট রাতে ফেনী থেকে ঢাকা আসার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সোনাগাজী থানায় হস্তান্তর করলে থানা পুলিশ তার ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে।  

দিনাজপুরে বাবুল হোসেন, মো: মানিক, মো: ফুল মিয়া, মো: শফিকুল এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট ২০১৭ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে বিএনপি’র সদস্য পদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান চলার সময় পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানটি পন্ড করে দিয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।