English Version
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০১৭ ১১:০০

হাইকোর্টের আদেশ আপিলে বহাল, আরিফই থাকছেন মেয়র

অনলাইন ডেস্ক
হাইকোর্টের আদেশ আপিলে বহাল, আরিফই থাকছেন মেয়র

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বিএনপি সমর্থিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে মেয়র আরিফুলের পদে ফিরতে চূড়ান্তভাবে বাধা কাটল এবং তাঁর পদে ফিরতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে আরিফুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে আপিল বিভাগ নো অর্ডার দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল রইল। মেয়র হিসেবে আরিফুল হকের দায়িত্ব পালনে আইনগত কোনো বাধা নেই। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গত মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। সেদিন চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আবেদনটি শুনানির জন্য আসে।

এর আগে গত ১৩ মার্চ মেয়র আরিফুলকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে তার করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

সেদিন তার আইনজীবী আবদুল হালিম কাফি জানিয়েছিলেন, আদালত স্থানীয় সরকার বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। একইসঙ্গে তার দায়িত্ব পালনে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা হয় সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মেয়র আরিফুলকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি চার সপ্তাহের রুলও জারি করেছেন আদালত।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সম্পূরক অভিযোগপত্র ২০১৪ সালের বছরের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের আদালতে দাখিল করলে আরিফুল হকসহ নতুন করে নয়জন অভিযুক্ত হন। ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে আরিফুল হক চৌধুরীকে সিলেটের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।