English Version
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০২:০৭

বিএনপির ছয় শর্তের জবাব দিলেন হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ছয় শর্তের জবাব দিলেন হানিফ

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির দেয়া ছয় শর্তের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ আলাদা আলাদা ভাবে জবাব দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে বিএনপির দেয়া শর্তগুলোর ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুলের প্রতিটি শর্তের ব্যাপারে তার ও দলের অবস্থান পরিস্কার করেন।

‘নির্বাচন কমিশন গঠন’ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন তো রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারের মধ্যে। তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরাও কথা বলেছি। আমরা বলেছি রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেবো। তার প্রতি সম্মান রেখে বিএনপিকেও একই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

‘বিরোধী দল নির্মূল’ নিয়ে মির্জা ফখরুল শর্ত প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশে এমন কোনো ঘটনা ঘটছে না। আমরা কেন বিরোধী দলকে নির্মূল করতে যাবো। আওয়ামী লীগ এই রাজনীতি করে না। তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নাশকতা করে নিজেরাই বিপদে পড়েছে। এখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কাল্পনিক অভিযোগ তুলছে।’

‘রাজনৈতিক নেতাদের’ মুক্তির দাবির প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘যারা আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কি বিচার পাবে না? বিএনপির প্রতি প্রশ্ন ছড়ে দিয়ে হানিফ আরো বলেন, প্রমাণ করতে হবে তারা এসব অপকর্ম করেনি।’

‘মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি’-এর বিষয়ে হানিফ বলেন, ‘বিএনপির কোন মামলাটি মিথ্যা সেটা তো প্রমাণের বিষয়। তারা হয়ত খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার কথা বলছে। কিন্তু আমরা তো এই মামলা করিনি। এগুলো দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আইনের মাধ্যমে আদালতেই তারা প্রমাণ করুক এগুলো মিথ্যা মামলা।’  

‘সব দলের সভা-সমাবেশ করার অধিকারে’ সরকার কোনো বাধা দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘আমরাও চাই সব রাজনৈতিক দল সভা সমাবেশ করুক। কিন্তু অতীতে সমাবেশের নামে তারা (বিএনপি) নৈরাজ্য করেছে। হয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেকারণে তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি।’

মির্জা ফখরুলের ছয় নম্বর ও শেষ শর্ত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার’ যে দাবি করেছেন সেটি নিরর্থক। ‘গণমাধ্যম তো স্বাধীনই। তারা স্বাধীনভাবেই সব কিছু লিখছে, প্রকাশ করছে। গণমাধ্যমে কি সরকারের সমালোচনা হচ্ছে না? মির্জা ফখরুলদের বক্তব্য প্রকাশ হচ্ছে না? বরং কখনও কখনও ভুল বা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সরকারের সম্মানহানিরও চেষ্টা হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে এটা কীভাবে হয়?’।