English Version
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৮ ১১:৪৯

মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাত সমাপ্ত

অনলাইন ডেস্ক
মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাত সমাপ্ত

টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি, কল্যাণ, অগ্রগতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মঙ্গল কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্যেদিয়ে শেষ হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ বছর বাংলায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের।

১৪ জানুয়ারি রোববার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১১টা ১৫ মিনিটে শেষ হয়। এদিন তুরাগপাড়ের বিশাল ময়দানে আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছেন লাখো মুসল্লি।

গত ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর জর্দানের মাওলানা শায়েখ ওমর খতিবের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ আমবয়ান আরবিতে করা হয়। সেটি বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা সালেহ।

প্রথম ধাপে ইজতেমায় অংশ নিয়েছে দেশের ১৬ জেলার মুসল্লিরা। এ ছাড়া আমেরিকা, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, লেবানন, ফিলিপাইন, আফগানিস্তাান, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৮৫টি দেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।

এদিকে ইজতেমার নিরাপত্তা জোরদার সম্পর্কে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানান, দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে ছয়জন করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া রাস্তাঘাট, ব্যস্ততম এলাকাসহ পুরো ইজতেমা ময়দান আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানকে আট স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া যান চলাচলেও কিছু নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। শনিবার মধ্যরাতের আগেই ঢাকা থেকে আসা যানবাহনগুলোকে আব্দুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া অভিমুখে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে ভোগড়া চৌরাস্তা এবং সিলেট থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে টঙ্গীর নিমতলীতে আটকে দেওয়া হয়। 

এর পাশাপাশি ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে ১৯টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া সব আন্তঃনগর ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করে। বিআরটিসি দুই শতাধিক বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করে।