English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৯:৩৮

ইজতেমায় মাওলানা সাদকে বয়কট

অনলাইন ডেস্ক
ইজতেমায় মাওলানা সাদকে বয়কট

তাবলিগের প্রবীণ নেতা মাওলানা সা’দ কান্ধলভি ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইনশৃংখলা বাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিরা, আলেম ওলামা এবং কাকরাইল মারকাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এর আগে এই উত্তেজনার কারণে মাওলানা সাদ ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাদকে নিজের সুবিধা মত সময়ে দিল্লি ফেরত যেতে হবে। যতদিন পর্যন্ত তিনি না যাবেন ততদিন কাকরাইল মসজিদে থাকতে পারবেন।

উল্লেখ্য, সা’দ কান্ধলভি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবী-রাসূল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে থাকেন। যার কারণে মুসল্লিদের কাছে তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।

ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা, কুরআন শরিফের ভুল ব্যাখ্যা, ইসলাম ও ওলামাদের বিরোধিতা, জাহেলি ফতোয়া, মোবাইলে কুরআন শরিফ পড়া এবং শোনা, তাবলিগের নতুন ধারাসহ বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন তাবলিগের মুসল্লিরা।

এছাড়া ‘তাবলিগ করা ছাড়া কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না’ বলে বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা। সেখান থেকে মাওলানা সাদকে এ বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তিনি উল্টো যুক্তি দেন। এ নিয়ে মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

একপর্যায়ে দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী বাংলাদেশের আলেমরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা তাকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় আসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশ শাখার ১১ শূরা সদস্যের মধ্যে ছয়জনই আলেমদের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।

এদিকে যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় মাওলানা সাদকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তাবলিগ জামাতের মুরব্বি ও কওমি আলেমদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি। এতে বাংলাদেশ তাবলিগের শূরা সদস্য ও উপদেষ্টারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন ইজতেমায় মাওলানা সাদের উপস্থিত না থাকার পক্ষে মত দেন।

কে এই সাদ?

জানা গেছে, এখন থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে ইসলামের দাওয়াতি কাজকে ত্বরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রহ.) দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছ (রহ.) ছেলে মাওলানা হারুন (রহ.)। তারই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী।