English Version
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ১৬:০৫

একনেকের সভায় ৫৭৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ১০ প্রকল্প অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক
একনেকের সভায় ৫৭৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ১০ প্রকল্প অনুমোদন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকের সভায় ৫৭৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এই প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান। সভায় শুধু বিটিসিএলের আধুনিকায়নের জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস করা হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিটিসিএলের উন্নয়ন সাধনের জন্য এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরআগেও একবার প্রকল্পটি একনেক সভায় আনা হয়েছিল। ওইসময় প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে প্রকল্পটি ফেরত পাঠান।

জানা যায়, বিটিসিএলের বিদ্যমান ল্যান্ড টেলিফোন নেটওয়ার্ক পুরাতন টেকনোলজি নির্ভর হওয়ায় শুধুমাত্র ভয়েজ কল ছাড়া অন্য কোনো ভিডিও কল করা যায় না। তাই পুরাতন যন্ত্রপাতির নেটওয়ার্ক আধুনিক করা হবে।

এছাড়া, কেরানিগঞ্জে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ৩৬০টি মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষন ও স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণ, ভাসমান বেডে সবজি ও মষলা চাষ, ঢাকা শহরের নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, পিরোজপুরে ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু, পুলিশের ৫০টি হাইওয়ে পোষ্ট স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক এর সদস্য ৩১টি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলের চেক গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক বিপর্যয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেকের দায়িত্ব। রোহিঙ্গাদের বিপর্যয়ের সময় আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াতাম তবে তা অমানবিক হতো।

অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানবিক কল্যাণে সবসময় এগিয়ে আসে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস। সম্প্রতি বন্যার সময় তারা জনগণের পাশে ছিল। এখন মায়ানমার থেকে অত্যাচারিত হয়ে বাংলাদেশে আসা লোকদের সাহায্যেও এগিয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন অত্যাচার করেছিল, এরাও একই রকমের অত্যাচারের শিকার। একাত্তরে তিন কোটি বাঙালি গৃহহারা হয়েছিল, আর এক কোটি শরণার্থী হয়েছিল।

১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার এবং তার ছোট বোনের শরণার্থী জীবনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘৬ বছর শরণার্থী হিসেবে থাকার কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের দুঃখ ও যন্ত্রণা বুঝি।’

রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত পাঁচ প্রস্তাবের আলোকেই এ সঙ্কটের সমাধান সম্ভব বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানেও জঙ্গিবাদী ঘটনা ঘটেছিল। আমরা তা দমন করেছি।

নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সর্বশ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষ মানবতাবোধ সম্পন্ন। তারা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সহায়তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসামরিক প্রশাসন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ এবং তার দলের স্বেচ্ছাসেবকরা এসব নিপীড়িত মানুষের ভোগান্তি লাঘবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে নিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেখানে বহুমুখী সাইক্লোন সেন্টারসহ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।