English Version
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০১৭ ১৯:৪৪

বিচারক ভুল করলে তাদেরও বিচার হবে : আ ক ম মোজাম্মেল হক


বিচারক ভুল করলে তাদেরও বিচার হবে : আ ক ম মোজাম্মেল হক
ফাইল ছবি

 

 

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিষয়ে মন্তব্য করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, ‘প্রত্যেক মানুষেরই জীবনে ভুল হতে পারে। মানুষের ভুল হলে বিচার হয়। বিচারকের যদি ভুল হয় হলে বিচার হবে না কেন? বিচারকরাও মানুষ তারাও আইনের বাইরে না। সে শয়তানও না, আবার ফেরেস্তাও না।

 

তাদের ভুল হলে বিচার পার্লমেন্টে হবে। তারা যদি মনে করেন, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংদের হাতে রাখবেন না, জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে রাখবেন, সেটা তারা করতে পারেন। সেই এখতিয়ার বা ক্ষমতা তাদের আছে।’

 

সোমবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসনসড়ক মালেকের বাড়ি এলাকায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিষয়ে মন্তব্য করে এসব কথা বলেন। 

 

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষরিত মহাকাব্যে তিনি জাতিকে যে ভাবে সারাদেশের রাজনীতিকে কলংকিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে অসম্মানিত করেছেন। জাতীয় সংসদকে অসম্মানিত করেছেন। আমরা একটু অপেক্ষায় আছি। দেখি উনারা পরবর্তীতে কি করেন, কোন পথে হাঁটেন।

 

উনারা সোজা পথে হাঁটলে আমরাও সোজা পথে হাঁটবো, বাঁকা পথে হাঁটলে আমরাও বাঁকা পথে হাটবো। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোজা আঙগুলে ঘি না উঠলে আঙগুল বাঁকা করতে হবে। এটা আমরা চাইনা, আমরা কামনা করিনা। আমরা দেশে একটা ভাল অবস্থা কামনা করি।’

 

তিনি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর্যবেক্ষনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে সব বিষয় আনা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক, আপত্তিকর এবং সারাজাতির জন্য সেটা অবমাননাকর। মাহন জাতীয় সংসদ সম্পর্কে যেটা করা হয়েছে তাও দুঃখজনক।

 

প্রধান বিচারপতি সমস্ত রাজনীতি সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছেন এটা দুঃখজনক। আমি অনুরোধ করবো যিনি অবাঞ্চিত ভাবে, অনাকাংখিত ভাবে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে এই মিথ্যাচার করেছেন, তিনি যেন অনুগ্রহ পূর্বক নিজের উদ্যোগে তার সেই সমস্ত কথা এক্সপাঞ্জ করেন। সেই রায় থেকে সেগুলো প্রত্যাহার করে নেন।

 

তা যদি না করেন, যদি আপনি মনে করেন, বিচার বিভাগকে জাতির প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাবেন, তা হলে আমাদের বুঝতে হবে বিশেষ কোন এজেন্ডা নিয়ে আপনি এ কাজ করেছেন। আর যদি প্রকৃতই কোন এজেন্ডা না নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার দায়িত্ব আপনার রায় আপনি সংশোধন করবেন।’

 

অ্যাডভোকেট ওয়াজউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম বাবুল প্রমূখ।

 

পরে মন্ত্রী গাজীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলা পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন। গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, গাজীপুর আদালতের পিপি হারিছ উদ্দিন আহমেদ, জিপি আমজাদ হোসেন বাবুল, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, এ্যাড. আমানত হোসেন খাঁন প্রমূখ।