English Version
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৬:২২

চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসি

নারায়ণগঞ্জ: জেলার চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তাসহ ২৬ জনের ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় অপর ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। 

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়।   ফাঁসির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- র‍্যাবের চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর। নুর হোসেনের সহযোগী মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আলী মোহাম্মদ, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান (চার্চিল), সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন সেলিম, সানাউল্লাহ ও শাহজাহান।    এছাড়া অপহরণের দায়ে র‌্যাবের সাবেক সদস্য এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, করপোরাল মোখলেছুর রহমান, করপোরাল রুহুল আমিন, কনস্টেবল বাবুল হাসান ও সৈনিক নুরুজ্জামানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। 

আলামত নষ্ট করার অভিযোগে এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিন ৭ বছর করে। অন্যদিকে অপহরণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সরানোর দায়ে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে যথাক্রমে ১০ বছর ও ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে গ্রেফতারকৃত ২৩ আসামিকে দুই ভাগে সকাল ৯টা ৮মিনিট ও ৯টা ৪০ মিনিটে কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আনা হয়। এ সময় সব আসামিকেই ডাণ্ডাবেড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। 

এরপর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আসামিদের আদালতের হাজতখানার কাঠগড়ায় স্থাপিত লোহার খাঁচার মধ্যে রাখা হয়। প্রথমে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার এবং পরে প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ৫ জনকে আদালতে আনা হয়।   প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জনের এবং পরদিন প্রায় একই স্থান থেকে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।   ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।